প্রতিষ্ঠান পরিচিতি
প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে
বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ ও পূর্বে মায়ানমার সীমান্তবর্তী টেকনাফ উপজেলা। কক্সবাজার জেলায় যে কয়টি উপজেলা আছে তার মধ্যে শিক্ষায় পিছিয়ে রয়েছে টেকনাফ সীমান্ত উপজেলা। ১৯৮৪ সালে টেকনাফ উপজেলায় রূপান্তির হবার পূর্বে বালক উ”চ বিদ্যালয় থাকলেও নারীশিক্ষার জন্য কোন প্রতিষ্ঠান ছিলনা। তখনকার সময়ে ধর্মীয় গোড়ামী এবং অভিভাবকদের অসচেনতার কারণে নারী শিক্ষার প্রধান অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছিল। টেকনাফ প্রশাসন নারী শিক্ষার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে ১৯৮৫ সালে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন সংলগ্ন টেকনাফ পৌরসভার ০২ নং ওয়ার্ডে টেকনাফ এজাহার সরকারি বালিকা উ”চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠতা টেকনাফের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এজাহার মিয়া কোম্পানী। মাত্র ৩৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানের শুভযাত্রা। তখন টেকনাফে শিক্ষার হার ছিলমাত্র ৫%। নারী শিক্ষা ছিল অবহেলিত। বর্তমানে টেকনাফে শিক্ষার হার ২৫%। টেকানাফে নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধিতে একমাত্র অবদান টেকনাফ এজাহার সরকারি বালিকা উ”চ বিদ্যালয়ের। কারণ টেকনাফে আর কোন বালিকা উ”চ বিদ্যালয় নেই। ৩৫ জনশিক্ষার্থী নি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে টেকনাফে মাদকের সাথে সমপৃক্ত যুবসমাজ। এ ক্ষেত্রে নারীরা অনেকাংশে জড়িত নয়। টেকনাফে ইয়াবা ও মাদকের বিরোদ্ধে এই প্রতিষ্ঠানের নারী শিক্ষার্থীরা বেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। অতএব সার্বিক পর্যালোচনা পূর্বক টেকনাফের নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধিতে টেকনাফের সর্বস্তরের মানুষের দাবী টেকনাফ এজাহার বালিকা উ”চ বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ নিতান্ত প্রয়োজন। তারই ফলশ্রুতিতে বিগত ১৫ই নভেম্বর ২০১৮ খ্রি. তারিখ প্রতিষ্ঠানটি সরকারিকরণ করা হয়।